করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে জারি রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। সেই বিধিনিষেধেই এবার কিছুটা ছাড় দিল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান, বাজার। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত শাড়ি এবং গয়নার দোকান খোলা থাকার কথা। মিষ্টির দোকান খোলার ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা। তবে পাটশিল্প এবং নির্মাণ ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল। খুচরো দোকানও খোলা রাখতে দেওয়া হোক, এই আবেদন জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই অনুরোধ অনুযায়ী বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খুচরো দোকান এবার বেলা ১২টা-৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে শুরু করা যেতে পারে কাজ। টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে এমন শ্রমিককে নিয়ে নির্মাণ কাজ করা যেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই দূরত্ববিধি মানা বাধ্যতামূলক। রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধের জন্য বন্ধ রয়েছে ট্রেন, বাস এবং মেট্রো পরিষেবা। উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকবে বিধিনিষেধ।
রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধের সুফল যে মিলছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে আরও একবার সেকথা উল্লেখ করেন তিনি। রাজ্যের দৈনিক করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা যে অনেকটাই কমেছে তা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, রবিবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ২৮৪ জন। বর্তমানে রাজ্যে অ্যাকটিভ কেস ৯৪ হাজার ৮৯৮ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৩২ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১.৯৩ শতাংশ। যা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। বিধিনিষেধের ফলে রাজ্যবাসী করোনার কবল থেকে মুক্তি পাবেন বলেও আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া রাজ্যে টিকাকরণের কাজও যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে বলেই জানান প্রশাসনিক প্রধান।।
Comments