top of page
Search
Writer's picturekarankit11

রবিবার সকালে দুর্গাপুরে কুরুড়িয়া ডাঙা এলাকায় বাড়ির ভেতর থেকে পরিবারের চারজনের দেহ উদ্ধার

রবিবার সকালে দুর্গাপুরের কুরুড়িয়া ডাঙা এলাকায় বাড়ির ভেতর থেকে একই পরিবারের চারজনের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।


Durgapur Family of Four Died Mysteriously Relatives Complain That There is a Connection of Recruitment Scam


এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মৃতের মাসতুতো বোন। মৃত অমিত মণ্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে মদত রয়েছে মৃত অমিত ওরফে বুবাই মন্ডলের মা বুলারানী মন্ডল ও মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টুর। এখানেই শেষ নয় সুদীপ্তার অভিযোগ অনুযায়ী মৃত অমিত জানতে পেরেছিলেন তাঁর মামার বাড়ীর পরিবারের বেশ কিছুজনের ২০১২ সালে টেট পাস না করেও চাকরি হয়েছিল। এমনি কথা অমিত তাঁর বোন সুদীপ্তাকে হোয়াটস অ্যাপ মারফত লিখে জানিয়েছিলেন। মৃতের গদাবি, এই মেসেজ পাঠানোর পরদিন ভোরেই জানতে পারেন তাদের মৃত্যুর ঘটনা।

অমিতের রহস্যজনক মেসেজ

মৃত অমিত মন্ডল পেশায় একজন জমি ব্যবসায়ী। অন্যদিকে মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ও প্রশান্ত নায়েকও জমি ব্যবসায়ী বলে ওই হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে লিখেছিলেন অমিত। সেখানে অমিত অভিযোগ করেছিলেন যে, বিভিন্ন সময়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বেআইনিভাবে জমির লেনদেন করে বিপুল সম্পত্তি করেছে ।

এছাড়াও সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে সুশান্ত নায়েক, এমনই বিস্ফোররক অভিযোগ এনেছিলেন অমিত, বলে দাবি সুদীপ্তার। ওই মেসেজে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ সিবিআই ও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মৃত অমিত।

সুদীপ্তা দেবীর আরও অভিযোগ, মৃত অমিতের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা রয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। হাত বাঁধা থাকলে গলায় দড়ি কী করে দেবে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের বোন। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, অমিতের বাড়ির সিসিটিভি কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, শনিবার রাতে মা বুলারানী মণ্ডল এই বাড়ীতেই ছিলেন। যিনি আবার নিজের ছেলে ও তার পরিবারকে কখনও ভালো চোখে দেখতেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সব মিলিয়ে অমিত মণ্ডল ও তাঁর গোটা পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় পরতে পরতে দানা বেঁধেছে রহস্য। বিশেষ করে মৃত অমিতের বোনকে করা হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে কমব্যাট ফোর্স সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে।

Source - Ei Samay

15 views0 comments

Comments


Post: Blog2_Post
bottom of page